চলো নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হই – ৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৫

৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৫: নেটওয়ার্ক এর মূল কাজ হল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তথ্য আদান প্রদান করা। নেটওয়ার্ক ডিজিটাল বা নন ডিজিটাল দুই ধরনের-ই হতে পারে। সপ্তম শ্রেণিতে আমরা ডিজিটাল নেটওয়ার্কের দুটি ধরন (তারযুক্ত ও তারবিহীন) সম্পর্কে জেনেছি। এবার আমরা নেটওয়ার্কের আরো কিছু ধরন সম্পর্কে জানবো আর সেই সাথে জানবো ডিজিটাল নেটওয়ার্ক আমাদের জীবনে কী কাজে লাগে। এই অভিজ্ঞতার শেষে আমরা নিজেরাই কম্পিউটার নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে শিখে যাবো।


চলো নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হই – ৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৫

সেশন-১: নেটওয়ার্কের প্রয়োজনীয়তা

আমরা আমাদের চারপাশে নানা ধরনের নেটওয়ার্ক দেখি, আমরা প্রতিদিন নানা ধরনের নেটওয়ার্ক এ নানা ধরনের কাজ করি, কিন্তু আমরা কি জানি নেটওয়ার্ক এর প্রয়োজনীয়তা কী? চলো এই গল্পটা পড়ে সেটা জেনে নিই-

রিফাত ৮ম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী। আজ তাদের কম্পিউটার ল্যাব ক্লাসে সবাইকে একটি করে প্রেজেন্টেশন তৈরি করে প্রিন্ট করে শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে। ল্যাবে ঢুকেই তাই সবাই যে যার মত কম্পিউটার এর সামনে বসে কাজ শুরু করে দিল। রিফাত তার কম্পিউটারটি অন করে দেখল তার প্রেজেন্টেশন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় একটি সফটওয়্যার সেই কম্পিউটারটিতে ইন্সটল করা নেই।

ল্যাবে অন্য কোন কম্পিউটারও খালি ছিল না যেটিতে বসে সে তার কাজটি করতে পারবে। রিফাত তার শিক্ষককে এই সমস্যাটির কথা জানালে শিক্ষক তাকে বললেন বিদ্যালয়ের ক্লাউডে সংযুক্ত হয়ে প্রেজেন্টেশন তৈরির সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা যাবে। তারপর রিফাত বিদ্যালয়ের ক্লাউড়ে সংযুক্ত হয়ে প্রেজেন্টেশন তৈরির কাজ শুরু করে।


৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৫

সেশন-২: ডেটা কমিউনিকেশন

গত সেশনে আমরা কয়েক ধরনের নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জেনেছি। এবার আমরা জানব নেটওয়ার্ক কীভাবে কাজ করে। আমরা তো জানি নেটওয়ার্কের কাজ হল তথ্য আদান-প্রদান করা বা যোগাযোগ স্থাপন করা। কিন্তু এই কাজটি কীভাবে হয়? নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান বা যোগাযোগের কাজটিকে রাস্তা দিয়ে গাড়ি বা মানুষ চলাচলের সাথে তুলনা করা যায়।

আমরা তো প্রায় প্রতিদিনই বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে যাই, তাই না? আমাদের প্রত্যেকের বাড়ি থেকেই বিদ্যালয়ের যাওয়ার বিভিন্ন রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তাগুলো বিভিন্ন বাড়িঘর এবং প্রতিষ্ঠানকে সংযুক্ত করেছে। অর্থাৎ এই রাস্তাগুলো ধরেই এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যাওয়া যায়, আমাদের বাড়ি থেকে আমাদের বিদ্যালয়ে যাওয়া যায়, বাজারে যাওয়া যায়, আবার বন্ধুদের বাড়িতেও যাওয়া যায়।

রাস্তাগুলো দিয়ে আবার গাড়িতে করে বিভিন্ন পণ্যও আনা-নেওয়া করা যায়। এই পুরো ঘটনাটি যদি আমরা নেটওয়ার্কিং এর সাথে তুলনা করি, তাহলে সহজেই নেটওয়ার্কে কীভাবে তথ্য আদান-প্রদান বা যোগাযোগ হয় তা বুঝতে পারব।

উপরের বর্ণনায় বাড়ি, বাজার, বিদ্যালয় এগুলোকে আমরা এক একটি কম্পিউটার বা ডিভাইসের সাথে তুলনা করতে পারি। গাড়িগুলোকে কল্পনা করা যেতে পারে ডেটা বা তথ্য হিসেবে এবং রাস্তাগুলোকে বিভিন্ন ধরনের সংযোগ প্রদানকারী তার বা ক্যাবলের সাথে।

রাস্তা যেমন সরু-প্রশস্ত, কাঁচা-পাকা এমন নানা ধরনের হয় তেমনি তারগুলোও নানা রকম হতে পারে যেমন- কপার ক্যাবল, কো-অ্যাক্সিয়াল ক্যাবল, ফাইবার অপটিক ক্যাবল ইত্যাদি। আবার আমরা জানি, নেটওয়ার্কে যোগাযোগের ব্যাপারটি তারবিহীনও হতে পারে। তারবিহীন যোগাযোগের এই ব্যাপারটিকে আমরা উড়োজাহাজের মাধ্যমে চলাচলের সাথে তুলনা করতে পারি।


সেশন-৩: চারপাশে যত নেটওয়ার্ক

ইতোপূর্বে আমাদের চারপাশে কী কী ডিজিটাল নেটওয়ার্ক আছে তা আমরা খুজে বের করেছিলাম। এই নেটওয়ার্ক গুলোকে তাদের ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। এবার এসো সেই সম্পর্কে জেনে নিই।

PAN (পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক)

আমাদের প্রয়োজনে কম্পিউটারকে অন্য যন্ত্র বা ডিভাইসে যুক্ত করে কাজ সেরে নিই। যেমন ল্যাপটপের সাথে প্রিন্টারের সংযোগ। এই সংযোগটিও এক ধরনের নেটওয়ার্ক। এই ধরনের ব্যক্তিগত নেটওয়ার্কই হলো পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক।

LAN (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক)

সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠান যেমন আমাদের বিদ্যালয়ে বিভিন্ন কক্ষে ভিন্ন ভিন্ন ডিভাইসগুলো আছে যেমন- ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, মোবাইল ইত্যাদি সেগুলোর সমন্বয়ে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করি তাই লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক। সাধারণত ১০০ মিটার বা কম এরিয়ার মধ্যে এ ধরনের নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে।

MAN (মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক)

আমরা যে শহরে বাস করছি, সেই শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কম্পিউটার বা কম্পিউটার ডিভাইসগুলোকে নিয়ে যে নেটওয়ার্ক তৈরি হয় তাই মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক। সাধারণত লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কগুলি যুক্ত করে এই নেটওয়ার্ক তৈরী হয়। এই ধরনের নেটওয়ার্কের এরিয়া ১০ কি.মি. থেকে ৩০ কি.মি. পর্যন্ত হতে পারে।

WAN (ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক)

বিস্তৃত ভৌগোলিক এলাকা জুড়ে, বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কের সংযুক্তির মাধ্যমে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক তৈরি হয়। এটি একটি অঞ্চল, দেশ বা অনেকগুলো দেশ নিয়েও তৈরি হতে পারে। যেমন, ইন্টারনেট সারা বিশ্বজুড়ে ব্যাপৃত একটি ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক।


সেশন-৪: নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতা

নেটওয়ার্কে তথ্য চলাচল সম্পর্কে তো আমরা জানলাম, এবার জানা যাক নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতার বিষয়ে। আবারো চলো রাস্তার ব্যাপারে চিন্তা করি। যে রাস্তাটা অনেক প্রশস্ত, সেখানে অনেকগুলো লেন থাকবে এবং অনেকগুলো গাড়ি একসাথে চলাচল করতে পারবে। সবাই নিশ্চয়ই সেই রাস্তাটিই ব্যবহার করতে চাইবে দ্রুত চলাচলের জন্য। কিন্তু রাস্তা প্রশস্ত হওয়াই একমাত্র বিবেচ্য নয়। রাস্তাটিতে যদি জ্যাম থাকে তাহলে সেই রাস্তা সবাই এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবে। কারণ সেই রাস্তা ব্যবহার করে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে না।

আবার, দেখা গেল, খুব প্রশস্ত রাস্তা, জ্যামও নেই; কিন্তু, রাস্তার অবস্থা (কোয়ালিটি) ভাল নয়। উঁচু-নিচু, একটু পর পর ভাঙ্গা, প্রবল ঝাঁকুনি লাগে, পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যাত্রীদের সমস্যা হতে পারে, সে রকম রাস্তাও আমরা এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করব।


সেশন-৫: নেটওয়ার্কের উপাদান

আগের সেশনগুলোতে আমরা নেটওয়ার্ক সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। এবার এসো জেনে নেই নেটওয়ার্কের বিভিন্ন উপাদান সম্পর্কে।

সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে আসা ডাক যোগযোগ ব্যবস্থার কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। যেখানে পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার চিঠি পাঠানোর জন্য আমাদের ডাকঘর ব্যবহারের প্রয়োজন হয়েছিল। পঞ্চগড়ে অবস্থিত আমাদের এলাকার ডাকঘর থেকে চিঠি যেতে পারে জেলা ডাকঘরে।

সেখান থেকে বিভাগীয় ডাকঘর, কেন্দ্রীয় ডাকঘরসহ বেশ কিছু ডাকঘর হয়ে, শেষে গিয়ে আমাদের চিঠি পৌঁছাবে কক্সবাজারে অবস্থিত আমাদের বন্ধুর এলাকার ডাকঘরে। এখানে প্রতিটি ডাকঘর একেকটি রাউটারের ভূমিকা পালন করেছে।

কিন্তু, আমরা যদি দূরের কোনো বন্ধুর কাছে চিঠি না পাঠিয়ে আমাদের এলাকার কোনো বন্ধুর কাছে চিঠি পাঠাতে চাই, তাহলে কিন্তু ডাকঘরের মাধ্যমে পাঠানোর প্রয়োজন হয় না। একইভাবে, কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রেও একই LAN এর অন্তর্ভুক্ত ডিভাইসগুলোর নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য রাউটার না থাকলে সমস্যা নেই।

এক্ষেত্রে সাধারণত সুইচ (SWITCH) বা হাব (HUB) ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সুইচ ব্যবহার করে এটির সাথে সংযুক্ত কোনো প্রেরক বার্তা পাঠালে সেটি শুধু প্রাপকের কাছে যাবে। আর হাবের মাধ্যমে প্রেরকের বার্তা হাবের সাথে সংযুক্ত সকল ডিভাইসের কাছে চলে যাবে।


সেশন ৬- নেটওয়ার্কে সংযুক্তি

নেটওয়ার্ক হলো পরস্পর সংযুক্ত কতগুলো কম্পিউটারের (ডিভাইস) সমষ্টি, যেগুলো বিভিন্ন ফাইল, প্রিন্টার, ইন্টারনেট সংযোগ ইত্যাদি নিজেদের মধ্যে শেয়ার করতে পারে।

এই সেশনটি সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে অন্য কারো তৈরি করা নেটওয়ার্ক বিদ্যমান থাকতে হবে। স্কুলে যদি নেটওয়ার্ক বিদ্যমান না থাকে, তাহলে অনুমতি নিয়ে আত্মীয়-স্বজন বা অন্য কারো নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে এই সেশনটি সম্পন্ন করা যেতে পারে।

এ সেশনে আমরা Windows 11 অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ধাপগুলো দেখব। কাজগুলো করার জন্য উইন্ডোজে এডমিনিস্ট্রেটর ইউজার হিসেবে প্রবেশ করতে হবে। অপারেটিং সিস্টেম বা এর সংস্করণ ভিন্ন হলে, নিচের প্রতিটি ধাপে দেখানো স্ক্রিন বা উইন্ডোর মত করে অপশনগুলো না এসে, খানিকটা ভিন্নভাবেও আসতে পারে। সেক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট অপারেটিং সিস্টেমের স্ক্রিনে আসা নির্দেশনাগুলো পড়ে অপশনগুলো খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করতে হবে


প্রশ্ন ০১: তারের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার উপায় লিখ।

উত্তর: তারের মাধ্যমে কোনো নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবার জন্য ডিভাইস (পিসি, ল্যাপটপ, ইত্যাদি) ছাড়াও আমাদের একটি RJ45 ক্যাবল প্রয়োজন হবে। RJ45 ক্যাবল হলো দুই প্রান্তে দুটি RJ45 কানেক্টর যুক্ত একটি ইথারনেট ক্যাবল।

ধাপ-১: প্রথমে ভালো করে দেখে নিই ডিভাইসটি (পিসি, ল্যাপটপ) চালু আছে কি-না এবং সবকিছু ঠিকমতো চলছে কিনা।

ধাপ-২: এবার RJ45 ক্যাবলের এক প্রান্ত ডিভাইসের (পিসি, ল্যাপটপ) নেটওয়ার্ক পোর্টে সংযুক্ত করি। নেটওয়ার্ক পোর্টটি এমন হবে যে, সেখানে RJ45 ক্যাবলের প্রান্তে থাকা কানেক্টরটি হালকাভাবে চেপে ধরে খুব সহজে সংযুক্ত করা যাবে।

ধাপ-৩: RJ45 ক্যাবলের অপর প্রান্ত রাউটারের ল্যান (LAN) পোর্টগুলির একটিতে সংযুক্ত করি। নেটওয়ার্কটি ইতিমধ্যে বিদ্যমান থাকায় রাউটারের WAN পোর্টে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী (আইএসপি) থেকে আসা তার সংযুক্ত থাকবে।

উল্লেখ্য, অনেক জায়গায় সরাসরি হয়তো রাউটার না থেকে অন্য কোনো নেটওয়ার্কিং ডিভাইস (যেমন, সুইচ, হাব) থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সে ডিভাইসের পোর্টে RJ45 ক্যাবল সংযুক্ত করতে হবে। উল্লেখ্য, অনেক জায়গায় ডিভাইসে ইতোমধ্যে সংযুক্ত থাকা RJ45 ক্যাবল সরবরাহ করা থাকে। সেক্ষেত্রে সরবরাহকৃত RJ45 ক্যাবলটি পিসি বা ল্যাপটপে সংযুক্ত করতে হবে।

প্রশ্ন ২: তারবিহীন (ওয়্যারলেস) WiFi নেটওয়ার্ক সংযুক্ত করার পদ্ধতি লিখ।

উত্তর: উইন্ডোজের কুইক সেটিংস মেনু ব্যবহার করে, নিম্নোক্ত ধাপসমূহ অনুসরণ করে সহজে WiFi নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়া যায়।

ধাপ-১: উইন্ডোজ টাস্কবারের একেবারে ডানদিকের কোনায় যেখানে সাউন্ড, ভলিউম, ব্যাটারি ইত্যাদি আইকন আছে, সেখানে থাকা ইন্টারনেট আইকনে ক্লিক করি।
উল্লেখ্য সংযোগের অবস্থার উপর ভিত্তি করে এটি দেখতে একটি গ্লোব, ডেস্কটপ বা ওয়াইফাই আইকনের যে কোনোটি হতে পারে।

ধাপ-২: পপ-আপ মেনু আসার পর নীচের চিত্রের মত দেখানো ডানমুখী তীরচিহ্নে ক্লিক করি।
ধাপ-৩: তীরচিহ্নে ক্লিক করার পর উপরে থাকা Wi-Fi বাটন কোনো কারণে বন্ধ করা থাকলে সেটি ধূসর হয়ে থাকবে। Wi-Fi বাটনে ক্লিক করে সেটি চালু করলে বিদ্যমান সমস্ত নেটওয়ার্কের তালিকা প্রদর্শিত হবে।

ধাপ-৪: তালিকায় থাকা নেটওয়ার্কের যেটিতে সংযুক্ত হতে চাই সেটির উপর ক্লিক করি। পরবর্তীতে কখনো এই নেটওয়ার্কের সীমানায় আসার সাথে সাথে, পুনরায় এতগুলো ধাপ অনুসরণ না করে, সরাসরি যদি ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে যেতে চাই তাহলে Connect automatically বক্সে ক্লিক করতে হবে। সবশেষে Connect বাটনে ক্লিক করি।

ধাপ-৫: কোনো নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে হলে সেই নেটওয়ার্কে সংযোগের পাসওয়ার্ড জানা থাকতে হবে। সংশ্লিষ্টজনের কাছ থেকে পাসওয়ার্ড জেনে নিয়ে ছবির মত করে Security Key বক্সে টাইপ করি। এরপর, Next বাটনে চাপ দিই।

উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করলেই আমরা Wi-Fi নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়ে যাবো। সফলভাবে সংযুক্ত হয়ে গেলে আমরা নেট ওয়ার্কটির পাশে Connected লেখা দেখতে পারবো।


আরও দেখুন: তথ্য যাচাই অভিযান – ৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ১
আরও দেখুন: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি – ৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ২
আরও দেখুন: নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের সুযাগ গ্রহণ করি – ৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৩
আরও দেখুন: সমস্যার সমাধান চাই প্রোগ্রামিংয়ের জুড়ি নাই – ৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৪


আশাকরি “চলো নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হই – ৮ম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি শিখন অভিজ্ঞতা ৫” আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে ফলো করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ ও সাবক্রাইব করতে পারেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।

Leave a Comment