ফ্রিল্যান্সিং এর কোন সেক্টরে কাজের চাহিদা বেশি

 ফ্রিল্যান্সিং এর কোন সেক্টরে কাজের চাহিদা বেশি

 ফ্রিল্যান্সিং এর কোন সেক্টরে কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ এ নিয়ে আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। আজকে এই অংশে আমরা আপনাদেরকে বলব যে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতের সবচেয়ে ডিমান্ডেবল কাজ কোনগুলা। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং খুবই জনপ্রিয় একটি পেশা। 

পড়াশোনার পাশাপাশি অথবা যে কোন প্রফেশনে থাকার পাশাপাশি আপনি ঘরে বসেই এই ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে খুব ভালো পরিমাণ আয় ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু এই ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বে আপনাকে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আপনি যে ফ্রিল্যান্সিং করবেন কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মধ্যে কোন কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। 

আরব পড়ুন: ফেসবুক গ্রুপ হ্যাক হলে করনীয় – ফেসবুক গ্রুপ ডিজেবল হলে করনীয়

অর্থাৎ কোন কাজগুলো শিখলে আপনি যেকোনো সময় কাজ পেতে পারেন এবং এই কাজটি অন্তত ১০-১৫ বছর লাস্টিং করবে। আচ্ছা আমি এমন একটা ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখলাম যে কাজটা শিখে আমি মার্কেটপ্লেসে কোন কাজ পাচ্ছি না অথবা লোকাল মার্কেটে কোন কাজ পাচ্ছি না। এরকম কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজ যদি আমি শিখি তাহলে কি আমার কোন লাভ হবে মোটেও না।

এজন্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এমন কিছু কাজ শিখতে হবে যেটার ডিমান্ড বর্তমান মার্কেটে অনেক বেশি রয়েছে তাহলে চলুন এরকমই কিছু জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ যেগুলোর চাহিদা এখন বর্তমানে অনেক বেশি রয়েছে সেগুলো নিয়ে এবার আলোচনা করা যাক।

ডিজিটাল মার্কেটিংঃ 

বর্তমান সময়ের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবচেয়ে ডিমান্ডেবল কাজ হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং মহাসমুদ্রের নাম, মানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে আপনি অনেকগুলো বিষয় একসঙ্গে শিখতে পারবেন। আপনাকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার কোন প্রয়োজন নাই। 

আপনি যদি এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে কোন একটা স্পেসিফিক সেক্টর নিয়ে কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনি প্রতি মাসে ঘরে বসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন অনায়াসে। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কিছু ফ্রিল্যান্সিং সেন্টার রয়েছে যেখানে খুব সফলভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে যার মধ্যে রাজশাহীর সেরা ডিজিটাল মার্কেটিং কোম্পানি অর্ডিনারি আইটি হচ্ছে সবচেয়ে বেস্ট। 

এছাড়াও আপনি গুগলে রিচাজ করতে পারেন অথবা ইউটিউবে রিসার্চ করতে পারেন যে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সিলেবাসে কারা ডিজিটাল মার্কেটিং সরবরাহ করছে এবং আপনি এমন একজন ফ্রিল্যান্সারের কাছে কোর্স করবেন যে আর বাস্তব ইনকামের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

আরব পড়ুন: ছাড়পত্র লেখার নিয়ম | ছাড়পত্র জন্য আবেদন লেখার নিয়ম

গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ

 ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরে ফ্রিল্যান্সিং যে কাজের চাহিদা সবচেয়ে বর্তমানে বেশি সেটি হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মত গ্রাফিক্স ডিজাইনও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস একটি বড় জায়গা দখল করে নিয়ে আছে। আপনি যদি একজন ক্রিয়েটিভ ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনার জন্য সবচেয়ে সেরা হিসাবে গণ্য হতে পারে। 

ডিজাইন করার জন্য আপনাকে অনেক ক্রিয়েটিভ হতে হবে বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা মাথায় নিয়ে এবং অনুভূতিগুলোকে নিজের ডিজাইনের মধ্যে প্রকাশ করে তোলাই হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। বর্তমান সময়ে একটা লোগো ডিজাইন করে দিয়ে প্রতি ঘন্টায় একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ৬০ থেকে ৭০ ডলার চার্জ করে থাকে।

ভিডিও এডিটিংঃ 

বর্তমান সময়ে আরো একটি জনপ্রিয় এবং ডিমান্ডেবল কাজ হচ্ছে ভিডিও এডিটিং। যদিও ভিডিও এডিটিং কয়েক বছর পূর্বে ততটা জনপ্রিয় ছিল না বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা বাড়ছে। 

আমরা ফেসবুকে ইউটিউবে বিভিন্ন শর্ট ভিডিও গুলো দেখতে পছন্দ করি। আর এ শর্ট ভিডিওগুলাই আপনার আমার মত ভিডিও এডিটররা ডিজাইন করে থাকেন। বর্তমান সময়ে যেভাবে শর্ট ভিডিও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে সেই অনুযায়ী অনুমান করা যায় আগামী বছরগুলোতে এই ভিডিও এডিটিং এর কর্ম ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে।

কন্টেন্ট রাইটিংঃ 

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কাজ হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর মধ্যে কন্টেন্ট রাইটিং হচ্ছে অন্যতম। 

আপনি যদি কন্টেন্ট রাইটিং করার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে না পারেন এর মানে হচ্ছে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের অন্যান্য কোন কাজ করতে পারবেন না। আপনি যে কোন ভাষায় কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন সেটা বাংলাতেও হতে পারে আবার ইংরেজিতে হতে পারে এছাড়াও কন্ট্রোল রাইটিং করে ওয়েবসাইট থেকে ব্লগিং করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট ডিজাইনঃ 

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের আরো একটি চাহিদাপূর্ণ কাজ হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন। বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট ডেভেলপারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস। বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানি ও প্রতিটি বিজনেসের এখন একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে। 

আর এই ওয়েবসাইটগুলো ডিজাইন করে থাকে ওয়েবসাইট ডিজাইনাররা। তাই আপনি যদি ভালোভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করা শিখতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টঃ

 বর্তমানে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট করে ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে ভালো পরিমাণ ইনকাম জেনারেট করা যায়। অথবা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেও আপনারা ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। 

আমরা প্লে স্টোরে বিভিন্ন অ্যাপ পেয়ে থাকি এই অ্যাপগুলা আপনার আমার মত এপ্লিকেশন ডেভেলপার তৈরি করে থাকে এবং সেটাকে প্লে স্টোরে মুক্ত করে গুগল এডসেন্সের অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে সেখান থেকে কিন্তু খুব ভালো পরিমাণ ইনকাম জেনারেট করা যায়।

ডাটা এন্ট্রিঃ 

ফ্রিল্যান্সিং এ আরো একটি চাহিদা সম্পন্ন কাজ হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। যদিও ডাটা এন্ট্রি কাজটি এখন আর আগের মত অনেকে করতে চায় না। তবে নতুন একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি ডাটা এন্টি দিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। 

কেননা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সবচেয়ে সহজ কাজগুলোর মধ্যে এটি একটি আপনি যদি শুধুমাত্র ভালো টাইপিং করতে পারেন এবং microsoft excel বা microsoft word সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ডাটা এন্ট্রি দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

এছাড়াও ওপরের কাজগুলো বাদেও আপনি আরও বেশ কিছু কাজ করার মাধ্যমে ভালো ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম করতে পারবেন এবং এইসব কাজ গুলা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে করে এখন চাহিদা সবচেয়ে বেশি। যেমনঃ 

  • কপিরাইটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • ভয়েস ওভার
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
  • ট্রান্সক্রাইবিং
  • ট্রান্সলেটিং
  • ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট
  • ডাটা এনালাইসিস
  • ইউএক্স / ইউ আই ডিজাইনার

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি আসুন এই বিষয়টি নিয়ে এবার একটু আলোচনা করা যাক। এর আগেই বলেছি ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এখন বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি পেশা। ফ্রিল্যান্সিং মানে মুক্ত পেশা অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে আপনি কারো অধীনে কাজ না করে নিজের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করতে পারেন। তাহলে আসুন এবার জেনে নেই যে সবচেয়ে যে সেক্টরগুলোতে আপনি কাজ করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে সেই বিষয়গুলো কি কি?

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Virtual Assistant)

রিজিউম এবং কভার লেটার রাইটার (Resume and Cover Letter Writer)

ই বুক রাইটার (E book writer)

এডিটর (the editor)

মার্কেট রিসার্চ (Market research)

লিড জেনারেশন (Lead generation)

ঘোস্ট রাইটার (Ghost writer)

ফিকশন রাইটার (Fiction writer)

বুক ডিজাইনার (Book designer)

কার্টুন আর্টিস্ট (Cartoon artist)

ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট (WordPress Expert)

এসইও কনসালটেন্ট (SEO Consultant)

কিওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword research)

ড্রপ শিপিং (Drop shipping)

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মধ্যে যেমন ডিমান্ডেবল সেক্টর রয়েছে ঠিক তেমনি এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যেও কিন্তু বেশ কিছু জনপ্রিয় কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি শেখার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে প্রতি মাসে ভালো পরিমান ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। আসুন এক নজরে আমরা দেখে নেই যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪।

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • গুগল এডসেন্স
  • ফেসবুক মার্কেটিং
  • ব্লগিং
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন
  • গুগল এডভার্টাইজমেন্ট
  • ইউটিউব মার্কেটিং
  • ভিডিও এডিটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • লিড জেনারেশন
  • ডাটা এন্ট্রি
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং, ইত্যাদি।

শেষ কথাঃ

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আমি যে বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি আশা করছি আপনি বিষয়গুলো বুঝতে পেরেছেন। কোন কিছু শিখতে গেলে বা কোন অংশে কাজ করতে আসলে আগে সেই মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।

এবং সেই মার্কেটে বর্তমান সময়ে কোন কোন কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে সে বিষয়গুলো কিন্তু আপনাকে মাথায় নিয়ে তারপরে কাজ করা শুরু করতে হবে তাহলে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

আশা করছি আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে।আমাদের যেকোনো আপডেট মিস না করতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। ধন্যবাদ সবাইকে সম্পূর্ণ দেখার জন্য।

পাঠ্য.ইনফো এর ফেসবুক পেজ  ফলো করুন।

Leave a Comment