৮ম শ্রেণির বাংলা ১ম অধ্যায়: আমরা বিভিন্ন উপায়ে মানুষের সাথে যোগাযোগ করি। এসব যোগাযোগের পিছনে এক বা একাধিক উদ্দেশ্য থাকে। কারো খবর নেওয়া, কাউকে দাওয়াত দেওয়া, কোনো কিছু চাওয়া, কোনো উত্তর খোঁজা কিংবা আরো নানা প্রয়োজনে যোগাযোগের দরকার হয়। পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবং ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কের ধরন অনুযায়ী যোগাযোগের উদ্দেশ্য নানা রকম হয়।
প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করি – ৮ম শ্রেণির বাংলা ১ম অধ্যায়
কার্যকর উপায়ে যোগাযোগ
যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষিক ও অভাষিক দুটি ধরন রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে আমরা লিখে, বলে, ইশারা ও অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করি। যোগাযোগের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখতে হয়। কাউকে জন্মদিনের দাওয়াত যেভাবে দেওয়া যায়, শোকসন্তপ্ত পরিবারের কারো সাথে সেভাবে কথা বলা যায় না। কথা বলার সময়ে প্রসঙ্গকে বিবেচনায় নিতে হয়। মর্যাদা অনুযায়ী সর্বনাম ও ক্রিয়াশব্দের ব্যবহারের দিকে খেয়াল রাখতে হয়।
যোগাযোগের সময়ে উদ্দেশ্য অনুযায়ী চিন্তা ও অনুভূতির প্রকাশ যথাযথ হলো কি না, সেটি খেয়াল করতে হয়। ব্যক্তিগত যোগাযোগ ও আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের উদ্দেশ্য এক রকম হয় না। উদ্দেশ্য অনুযায়ী যোগাযোগের যথাযথ উপায় বেছে নিতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একই প্রয়োজনে একাধিক উপায়ে যোগাযোগ করার দরকার হয়।
মৌখিক যোগাযোগ
মৌখিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অঙ্গভঙ্গি, গলার স্বর, তাকানোর ধরন ইত্যাদিও গুরুত্বপূর্ণ। মৌখিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেভাবে পরিস্থিতি, চিন্তা-অনুভূতি ও উদ্দেশ্য প্রকাশ করা যেতে পারে, তার একটি নমুনা নিচে দেওয়া হলো:
যোগাযোগের উদ্দেশ্য → বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দেওয়ার জন্য অভিভাবকের কাছে অনুমতি চাওয়া।
যেভাবে পরিস্থিতি তুলে ধরা যেতে পারে → মা, সামনের শুক্রবার আমার এক বন্ধুর জন্মদিন। সেদিন বিকালে আমাদের ক্লাসের কয়েকজনকে দাওয়াত দিয়েছে।
যেভাবে চিন্তা ও অনুভূতি প্রকাশ করা যেতে পারে → সেদিন অনেক মজা হবে। সেখানে গেলে সবাই মিলে অনেক আনন্দ করতে পারব।
যেভাবে উদ্দেশ্য প্রকাশ করা যেতে পারে → বিকালের অনুষ্ঠান শেষ করে আমি সন্ধ্যার আগেই ঘরে ফিরব। এই-অনুষ্ঠানে যাওয়ার ব্যাপারে আমি তোমার অনুমতি চাই।
লিখিত যোগাযোগ
লিখিত যোগাযোগের সময় অঙ্গভঙ্গি, গলার স্বর, তাকানোর ধরণ ইত্যাদির সুযোগ নেই। তাই লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে শব্দ ও বাক্য প্রয়োগের মাধ্যমে সেই অভাব পূরণ করতে হয়।
লিখিত যোগাযোগ নানা ধরনের হয়ে থাকে; যেমন- ব্যক্তিগত যোগাযোগ, প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ, ব্যবসায়িক যোগাযোগ ইত্যাদি। এসব যোগাযোগের কাঠামোও আলাদা। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগের নমুনা হিসেবে একটি আবেদনপত্রের কাঠামো দেখানো হলো। এই আবেদনপত্রে ক্লাসরুমে পাঠাগার তৈরির জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে শিক্ষার্থীরা আবেদন করছে।
ক্লাসরুম পাঠাগার তৈরির জন্য অনুমতি ও অনুদানের প্রধান শিক্ষক বরাবর আবেদন পত্র লিখ।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
প্রধান শিক্ষক
ফুলঝুরি উচ্চ বিদ্যালয়
বরগুনা সদর উপজেলা
বরগুনা।
বিষয়: ক্লাসরুম পাঠাগার তৈরির জন্য অনুমতি ও অনুদানের আবেদন।
মহোদয়,
আমরা ফুলঝুরি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আমাদের ক্লাসরুমের ভিতরে আমরা একটি পাঠাগার তৈরি করতে চাই। ক্লাসরুমের ভিতরে একটি পাঠাগার থাকলে বিরতির সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে পারব যা আমাদের অনেকেরই পছন্দের কাজ। পাঠাগার স্থাপনের জন্য আমাদের একটি বইয়ের সেলফের প্রয়োজন, যা শ্রেণিকক্ষের এক কোনায় রাখা হবে। এছাড়া এই সেলফে রাখার জন্য কিছু বই কেনারও প্রয়োজন। শ্রেণিশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে আমরা এই পাঠাগার পরিচালনা করতে চাই।
এজন্য আপনার সদয় অনুমতি এবং আর্থিক অনুদান কামনা করি।
বিনীত
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীবৃন্দ,
ফুলঝুরি উচ্চ বিদ্যালয়।
১.২ যোগাযোগে চিন্তা ও অনুভুতির প্রকাশ (ঘটনা-১; পৃষ্ঠা-৩ সমাধান)

১.২ যোগাযোগে চিন্তা ও অনুভুতির প্রকাশ (ঘটনা-২; পৃষ্ঠা-৩ সমাধান)

১.২ যোগাযোগে চিন্তা ও অনুভুতির প্রকাশ (ঘটনা-৩; পৃষ্ঠা-৪ সমাধান)

৮ম শ্রেণির বাংলা ১ম অধ্যায়
রাবেয়া খাতুন
অপারেশন কদমতলী গল্পটি রাবেয়া খাতুনের (১৯৩৫-২০২১) লেখা। তিনি মূলত কথাসাহিত্যিক। তাঁর ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘মধুমতী’, ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’ এসব উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। ছোটোদের জন্য তিনি অনেক গল্প-উপন্যাস লিখেছেন।
শব্দের অর্থ
অপারেশন: বিশেষ অভিযান।
আতঙ্ক: ভয়।
গেরিলা যুদ্ধ: নিজেকে লুকিয়ে রেখে শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করা হয় এমন যুদ্ধ।
চম্পকদল: রূপকথার একটি চরিত্রের নাম।
টহলদার: পাহারাদার।
দুঃসাহস: অতিরিক্ত সাহস।
নিঝুম: নীরব।
বেগতিক: উপায়হীন।
রাক্ষসপুরী: রাক্ষসদের বাসস্থান।
রেডিয়াম: একটি তেজস্ক্রিয় মৌলিক পদার্থ।
সলতে: প্রদীপ জ্বালাতে ব্যবহৃত হয় এমন টুকরো কাপড় বা মোটা সুতা।
সহস্রদল: রূপকথার একটি চরিত্রের নাম।
সহিসালামতে: নিরাপদে।
প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করি পৃষ্ঠা ১১
যোগাযোগে প্রাসঙ্গিকতা
এখানে ‘অপারেশন কদমতলী’ গল্প থেকে পাঁচটি কথা দেওয়া হলো। এসব কথা গল্পের কোন চরিত্র, কোন প্রসঙ্গে বলেছে লেখো। একইসঙ্গে কথাগুলো কতটুকু প্রাসঙ্গিক হয়েছে, তা উল্লেখ করো। কাজ শেষ হলে সহপাঠীর সঙ্গে আলোচনা করো এবং প্রয়োজনে সংশোধন করে নাও। প্রথমটির নমুনা উত্তর করে দেওয়া হলো।
১. কী আবার হবে, আমার মতো ঘুম ধরেছে। কথাটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক?
উত্তর: কথাটি বলেছে ‘অপারেশন কদমতলী’ গল্পের চরিত্র আন্না। দাদি রূপকথার গল্প বলছিলেন। সেই গল্প শুনছিল আন্না, মান্না ও চন্দন। চন্দনের কথার জবাবে আন্না এ কথা বলেছিল।
রূপকথার গল্প বলতে গিয়ে দাদি হঠাৎ করে জয় বাংলা রেডিওর কথা বলে ফেলেন। তাই চন্দন অবাক হয়। সে জানতে চায় দাদির ঘুম পেয়েছে কি না। তারা মনে করেছিল, দাদি বুঝি কথার খেই হারিয়ে ফেলছেন। এমন অবস্থায় চন্দনের কথার পরিপ্রেক্ষিতে আন্নার কথাটি প্রাসঙ্গিক।
২. রাক্ষসের গিলে-খাওয়া এই মানুষগুলো একদিন দেখিস ঠিক ফিরে আসবে। কথাটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক?
উত্তর: রূপকথার গল্প বলার সময় মান্নার কথার জবাবে দাদি এ কথা বলেছিলেন। গল্প বলার সময় মান্না বলে যুদ্ধের একটা হাওয়া বিরাজমান।
লড়াই শুরু হতে না হতেই এই কয়মাসে কতজনকে যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কেউ ফেরেনি। এখন সাগরেবের পর সারা পাড়া নিঝুম হয়ে যায়। অন্ধকার হয়ে যায়। এখন যেন পুরো মহল্লা রূপকথার সেই রাক্ষসপুরীর মতো হয়ে গেছে। রাজার রাজ্যে একটিও জ্যান্ত লোক নেই। সব গেছে রাক্ষসের পেটে। তাই দাদি উপরোক্ত উক্তিটি করেছেন।
৩. এ যুদ্ধকে বলে গেরিলা যুদ্ধ। কথাটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক?
উত্তর: কথাটি বলেছে চন্দন। আন্নার কথার জবাবে চন্দন একথা বলেছিল। নিজেকে লুকিয়ে রেখে শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করা হয় সেই যুদ্ধকে গেরিলা যুদ্ধ বলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা লুকিয়ে লুকিয়ে খান সেনাদের আক্রমন করে। এই যুদ্ধ হলো গেরিলা যুদ্ধ। এমন অবস্থায় আমার কথার প্রেক্ষিতে চন্দনের কথাটি প্রাসঙ্গিক।
৪. বেশি দিন আর নেই। কথাটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক?
উত্তর: কথাটি বলেছেন শফিভাই,রাতের বেলায় টহলদার শত্রুসেনাদের বুটের বিশ্রী শব্দ। সেই সঙ্গে কুকুরদের আর্তনাদ। আজকাল সারারাত ওরা ডাকে। দাদী বলে পঁচিশে মার্চের মাঝরাত থেকে সেই যে কুকুর ডাকা শুরু হয়ে কে জানে করে থামবে, এমন কথার প্রেক্ষিতে শফিভাই উপরোক্ত উক্তি করেছেন।
৫. পাবে কী করে? ভাইয়েরা জব্বর চালাক। কথাটা কতটুকু প্রাসঙ্গিক?
উত্তর: কথাটি চন্দন বলেছিল। একদিন চন্দনের এলাকায় খান সেনারা আক্রমন করলে ছেলেরা তাদের প্রতিহত করেছিল, খান সেনারা অনেকে আহত-নিহত হয়েছে সাথে বিশ্বাসঘাতক রাজাকাররাও। সেই মুক্তিযোদ্ধারা বিলের কোথায় যে মিলিয়ে গেছে খান সেনারা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও হদিস পেল না। তারা বাংলার চাষি,মাঝি ও জেলেদের মাঝে মিশে গেছে। তাই চন্দন উপরোক্ত উক্তিটি করেছিল।
যোগাযোগে মর্যাদাসূচক শব্দ
যোগাযোগে বাংলা ভাষায় তিন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়—সাধারণ সর্বনাম, মানী সর্বনাম ও ঘনিষ্ঠ সর্বনাম। একইসঙ্গে মর্যাদা অনুযায়ী ক্রিয়ার রূপও তিন ধরনের হয়—সাধারণ ক্রিয়ারূপ, মানী ক্রিয়ারূপ ও ঘনিষ্ঠ ক্রিয়রূপ।
যোগাযোগের উপাদান বিশ্লেষণ
তোমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে একটি পরিস্থিতির উল্লেখ করো। ঐ পরিস্থিতিতে তুমি কীভাবে তোমার উদ্দেশ্য ও চিন্তা-অনুভূতির প্রকাশ করেছিলে, সেটি লেখো। আর কীভাবে প্রকাশ করলে এই উদ্দেশ্য ও চিন্তা-অনুভূতির প্রকাশ আরো ভালোভাবে হতে পারত বলে মনে করো? লেখা হয়ে গেলে সহপাঠীদের সাথে আলোচনা করো এবং তাদের মতামত নাও।
প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করি
দলে আলোচনা করে তোমাদের বিদ্যালয় বা শ্রেণিকক্ষের কোনো একটি সমস্যা চিহ্নিত করো। এই সমস্যা দূর করার জন্য কার সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে, সেটি ঠিক করো। এই কাজে মৌখিক যোগাযোগের প্রয়োজন হলে কীভাবে উপস্থাপন করবে এবং লিখিত যোগাযোগের প্রয়োজন হলে কীভাবে লিখবে, তা আলোচনা করো এবং সে অনুযায়ী কাজ করো।
প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করি পৃষ্ঠা ১৩
১.৪ যোগাযোগে মর্যাদাসূচক শব্দ
যোগাযোগে বাংলা ভাষায় তিন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়—সাধারণ সর্বনাম, মানী সর্বনাম ও ঘনিষ্ঠ সর্বনাম। একইসঙ্গে মর্যাদা অনুযায়ী ক্রিয়ার রূপও তিন ধরনের হয়—সাধারণ ক্রিয়ারূপ, মানী ক্রিয়ারূপ ও ঘনিষ্ঠ ক্রিয়রূপ।
নিচে ‘অপারেশন কদমতলী’ গল্প থেকে কিছু বাক্য দেওয়া হলো। বাক্যগুলোর সঙ্গে দেওয়া প্রশ্নগুলোর জবাব লেখো। কাজ শেষ হলে সহপাঠীর সঙ্গে আলোচনা করো এবং প্রয়োজনে সংশোধন করে নাও। প্রথম দুটির নমুনা উত্তর করে দেওয়া হলো।
১. ও দাদি, তোমার হলো কী?
এখানে কোন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?
সাধারণ সর্বনাম।
মানী সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
ও দাদি, আপনার হলো কী?
ঘনিষ্ঠ সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
ও দাদি, তোর হলো কী?
২. মান্না সঙ্গে সঙ্গে চেঁচায়।
এখানে কোন ধরনের ক্রিয়ারূপ ব্যবহার করা হয়েছে?
সাধারণ ক্রিয়ারূপ।
মানী ক্রিয়ারূপের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
মান্না সঙ্গে সঙ্গে চেঁচান।
৩. রাক্ষসের গিলে-খাওয়া এই মানুষগুলো একদিন দেখিস ঠিক ফিরে আসবে।
এখানে বাক্যের মাঝে কোন ধরনের ক্রিয়ারূপ ব্যবহার করা হয়েছে?
ঘনিষ্ঠ ক্রিয়ারূপ।
সাধারণ ক্রিয়ারূপের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
রাক্ষসের গিলে-খাওয়া এই মানুষগুলো একদিন দেখো ঠিক ফিরে আসবে।
মানী ক্রিয়ারূপের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
রাক্ষসের গিলে-খাওয়া এই মানুষগুলো একদিন দেখবেন ঠিক ফিরে আসবে।
৪. তোকে কী করতে হবে, মনে আছে তো?
এখানে কোন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?
ঘনিষ্ঠ সর্বনাম।
সাধারণ সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
তোমাকে কী করতে হবে, মনে আছে তো?
মানী সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
আপনাকে কী করতে হবে, মনে আছে তো?
৫. ঠিক আছে, চল ঘুমাতে যাই।
এখানে কোন ধরনের ক্রিয়ারূপ ব্যবহার করা হয়েছে?
ঘনিষ্ঠ ক্রিয়ারূপ।
সাধারণ ক্রিয়ারূপের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
ঠিক আছে, চলো ঘুমাতে যাই।
মানী ক্রিয়ারূপের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
ঠিক আছে, চলেন ঘুমাতে যাই।
৬. তুই যা।
এখানে কোন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?
ঘনিষ্ঠ সর্বনাম।
মানী সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
তুমি যাও।
সাধারণ সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
আপনি যান।
৭. খাল আর বিল পেরিয়ে তারা এগোতে লাগল ফাঁড়ির দিকে।
এখানে কোন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?
সাধারণ সর্বনাম।
মানী সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
খাল আর বিল পেরিয়ে তাঁরা এগোতে লাগল ফাঁড়ির দিকে।
৮. তুই অপারেশনে অংশ নিয়েছিস!
এখানে কোন ধরনের সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে?
ঘনিষ্ঠ সর্বনাম।
মানী সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
তুমি অপারেশনে অংশ নিয়েছিলে।
সাধারণ সর্বনামের প্রয়োগে বাক্যটি কেমন হবে?
আপনি অপারেশনে অংশ নিয়েছিস!
প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করি পৃষ্ঠা ১৬
১.৫ যোগাযোগের উপাদানন বিশ্লেষষণ
নিচের ছকে তোমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে একটি পরিস্থিতির উল্লেখ করো। ঐ পরিস্থিতিতে তুমি কীভাবে
তোমার উদ্দেশ্য ও চিন্তা-অনুভূতির প্রকাশ করেছিলে, সেটি লেখো। আর কীভাবে প্রকাশ করলে এই উদ্দেশ্য ও
চিন্তা-অনুভূতির প্রকাশ আরো ভালোভাবে হতে পারত বলে মনে করো? লেখা হয়ে গেলে সহপাঠীদের সাথে
আলোচনা করো এবং তাদের মতামত নাও।
পরিস্থিতি
আমি একবার অসুস্থ থাকার কারনে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারি নি। তখন আমার প্রধান শিক্ষকের নিকট একটি আবেদনপত্র লিখেছিলাম।
যোগাযোগের উদ্দেশ্য
আমার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট অনুপস্থিতির জন্য ছুটি চেয়ে আবেদন।
যে ধরনের চিন্তা ও অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে
অনুপস্থিতির কারণে জরিমানা মওকূপ।
আর কী উপায়ে যোগাযোগ করা যেত
১। মোবাইল ফোনে কথা বলে বা ই-মেইল পাঠিয়ে।
২। সহপাঠী বন্ধুর মাধ্যমে খবর দিয়ে।
উপরের পরিস্থিতি নিয়ে পরিবার বা পরিবারের বাইরের কোোনোো ব্যক্তির সাথে আলোোচনা করোো। যোগাযোগের
উদ্দেশ্য পূরণে পরিস্থিতি বিবেচনায় আর কী কী করা যেতে পারত, সে ব্যাপারে তাাঁর মতামত নাও এবং নিচে
উল্লেখ করো।
এই পরিস্থিতিতে আর কী কী করা যেত তা নিয়ে আমি আমার বাবা ও বন্ধুদের সাথে আলোচনা করেছিলাম, তাদের মতামত হলো-
ক) মোবাইল ফোনে কথা বলে।
খ) ই-মেইল করে।
গ) ভয়েস ম্যাসেস পাঠিয়ে।
ঘ) সরাসরি অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করিয়ে।
আরও দেখুন: ৮ম শ্রেণির সকল বই এর সমাধান
আরও দেখুন: ৮ম শ্রেণির বাংলা সকল অধ্যায় এর সমাধান
আরও দেখুন: ৮ম শ্রেণির বাংলা ১ম অধ্যায়
আরও দেখুন: ধ্বনির উচ্চারণ – ৮ম শ্রেণির বাংলা ২য় অধ্যায় ১ম পরিচ্ছেদ
আরও দেখুন: শব্দের উচ্চারণ – ৮ম শ্রেণির বাংলা ২য় অধ্যায় ২য় পরিচ্ছেদ
আরও দেখুন: লিখিত ভাষায় প্রমিত রীতি- ৮ম শ্রেণির বাংলা ২য় অধ্যায় ৩য় পরিচ্ছেদ
আশাকরি “প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করি – ৮ম শ্রেণির বাংলা ১ম অধ্যায়” আর্টিকেল টি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমাদের কোন আপডেট মিস না করতে ফলো করতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজ ও সাবক্রাইব করতে পারেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।